দেশজুড়ে
দক্ষতার স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদারীপুরের ওসি সওগাতুল আলম
বিশেষ প্রতিনিধি: পানিতে ঘেরা জীবন যাপন। প্রকৃতির সঙ্গে অনেকটা লড়াই করেই বড় হয়েছেন। প্রকৃতি তাকে শিখিয়েছে জীবন যুদ্ধের সূত্রটা, মানুষের পাশে থেকে সুখ-দু:খ ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল না খুব একটা। তার মধ্যেই পড়ালেখা করে নিজেকে গড়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে। মানুষকে সেবা দেয়া ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেই আজকের এই বর্তমান তার। জানাচ্ছিলাম কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের ছেলে সওগাতুল আলমের কথা। বর্তমানে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিনি।
বিগত ২০১৯ সালে সুদক্ষ কাজের জন্য এবছর আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন তিনি। জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদর থানার ওসিকে এ পুরস্কার প্রদান করবেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সওগাতুল আলম অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে গত ১৭ জুন মাদারীপুর সদর থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার, পলাতক আসামী গ্রেপ্তার, জুয়া বন্ধ ও জুয়াড়ি গ্রেপ্তার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের জনসেবামূলক কাজ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে মাদারীপুর থানার ওসি হিসেবেই ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসির মর্যাদাও পেয়েছেন তিনি।
সওগাতুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের একজন গর্বিত সন্তান। তাঁর বাবা মোঃ সাইদুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। মা এবং স্ত্রী দুজনই গৃহিণী। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে সন্তানের জনক সওগাতুল। তবে সওগাতুল আলমকে তার পরিবার আদর করে আকাশ নামেও ডাকেন।
বাবা স্কুল শিক্ষক হওয়াতে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা বাবার কাছ থেকেই পাওয়া। তাই পেশার বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও ওসি সওগাতুল অত্যন্ত প্রানোচ্ছল ও মিশুক প্রকৃতির। সহজেই মানুষের সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়েন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে।
২০০৬ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারী ডিএমপিতে এস আই হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতই পেয়েছেন সাফল্যের সন্ধান।
এবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন মোট ৫৯৫ পুলিশ সদস্য। পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ’।
সফলতার মুকুটে আরেকটি পালক হিসেবে এবার আইজিপি ব্যাজ লাগার অনুভূতি কি জানতে চাইলে সওগাতুল বলেন, ভালো কাজ করে যেতে চাই। এমন সম্মান কাজের স্পৃহা যেমন বাড়ায় তেমনি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়।
/আরএম