দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন ২০২৩ সালের অক্টোবরে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় এই টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। সোমবার(১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান বড় যে কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে, তার মধ্যে তৃতীয় টার্মিনাল একটি। এখন পর্যন্ত তৃতীয় টার্মিনালের অগ্রগতি হয়েছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত কাজটা শেষ হবে। এতে যাত্রীদের সুবিধা অনেক বাড়বে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, আকাশ পরিবহনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যাতে উন্নত হয়। কারণ বিমানবন্দর হচ্ছে একটা দেশের প্রধান গেটওয়ে বা ড্রয়িং রুম।’

দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরে বড় ধরনের বিপ্লব হচ্ছে জানিয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের অন্য বিমানবন্দরগুলোর কাজ চলছে। বিমানবন্দরের লাগেজ ডেলিভারিতেও সময় অনেক কমে আসছে। যাত্রী যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন, সেটা আমরা খেয়াল রাখছি। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীরা সুন্দর ব্যবহার পাবেন। যখন দেখবো সব ঠিকঠাক হচ্ছে, তখন বুঝব আমাদের কর্মকাণ্ড সার্থক হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেওয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেশের বিমানবন্দর গুলোতে থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’

এ সময় দেশের বিমানবন্দরে কম সময়ে ইমিগ্রেশন হচ্ছে বলে জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বলেন, ‘হিথ্রো বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ইমিগ্রেশনে। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে লাগেজ নেওয়ার জন্য। অথচ আমাদের দেশে ইমিগ্রেশন হয় খুব অল্প সময়ে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ইমিগ্রেশন হয়ে যায়। তারপর যাত্রীদের প্রত্যাশা হচ্ছে ইমিগ্রেশন ক্রস করলেই লাগেজ পেয়ে যাবে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত দেশের জন্য যোগ্য এয়ারপোর্ট দরকার। সেটার জন্য আমরা কাজ করছি। সেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করেছি। তাদের পোশাকে লেখা রয়েছে—আমি কি সাহায্য করতে পারি। আমাদের অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নতুন টার্মিনাল হলে সেই সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য আমরা কাজ করছি। তখন প্রচুর যাত্রী বাড়বে, ব্যবসা বাড়বে। অনেক পর্যটক আসবে। সেবার মান নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার সেটাই করব। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে যাতে এই এয়ারপোর্ট ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে পূরণে আমরা চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাতে যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়, তার জন্য প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি আগামী দিনে এটা সমাধান হয়ে যাবে। আর তৃতীয় টার্মিনাল হওয়ার পর ম্যানুয়াল তল্লাশি অনেক কমে যাবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম প্রমুখ।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close