প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
তুরস্কের ৭৪ হাজার ভবন ভাঙ্গতে হবে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের ৭০ হাজার ভবন ভেঙে ফেলতে হবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার। বলা হচ্ছে, ওই ভবনগুলো এখনও খাড়া আছে। তবে ভূমিকম্পের কারণে সেগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো গুঁড়িয়ে ফেলতে হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনমতে, ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ৬ হাজার ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৭৪ হাজার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো আর বসবাসের উপযোগী নেই। এসব ভবন থেকে ৩ লাখ ৭৪ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই ৩৯ হাজার ৬৭২ জন। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে এবং ভূমিকম্পের ১৩ দিন পরও এখনও মাঝে মাঝেই ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধান মিলছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘণ্টা পর তুরস্কের হাতায় প্রদেশে বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এক শিশুসহ অন্তত ৩ জনকে উদ্ধার করেছেন তুর্কি উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্ক থেকে উত্তর সিরিয়ায় ১৭৮ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণ সহায়তা সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জেনস লার্কে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বলেন, ট্রাকগুলো জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থা থেকে বিভিন্ন সহায়তা উপকরণ নিয়ে গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে তাঁবু, বিছানা, কম্বল, শীতের পোশাক, কলেরা টেস্টিং কিট, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেয়া খাদ্য।
জাতিসংঘের উপ মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, সাম্প্রতিক মূল্যায়ন অনুসারে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৫০ হাজার পরিবারের তাঁবু বা জরুরি আশ্রয় প্রয়োজন। অন্তত ৮৮ হাজার পরিবারের বিছানা এবং উষ্ণ কম্বল ও পোশাক প্রয়োজন।
এছাড়া জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ধারণ ক্ষমতা অনেক কম। তাই চিকিৎসা সহায়তাও পাঠানো প্রয়োজন।