দেশজুড়ে
তিন সন্তানের জননীকে নিয়ে পালালো ১৮ বছরের যুবক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ ভৈরবে তানভীর (১৮) নামে এক যুবকের হাত ধরে তিন সন্তানের জননী আবুনি বেগম (৩৬) ছোট সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয়ের সন্ধান চেয়ে গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে থানায় জিডি করেছে দুই পরিবার।
আবুনি বেগম ভৈরব পৌর এলাকার কালীপুর গ্রামের পিয়ার মিয়া স্ত্রী। আর তানভীর তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী খলিল মিয়ার ছেলে।
পিয়ার মিয়ার দাবি- তানভীর গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পালানোর সময় তার ঘরে রাখা লাখ টাকাসহ শিশুপুত্র রিফাতকে নিয়ে গেছে স্ত্রী।
অপরদিকে তানভীরের মা স্বপ্না বেগমের দাবি- তার ছেলে তানভীর পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ। গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) পিঠা খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। ছেলে তানভীরকে অপহরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে ভৈরব থানায় দুটি জিডি করা হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে প্রেমঘটিত ঘটনা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পিয়ার মিয়া বলেন, তানভীর প্রায়ই আমার বাসায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিত। আমার মেয়ের কাছ থেকে আগেই ঘটনাটি জেনে তানভীরকে আমার বাসায় আসতে নিষেধ করেছি। ঘটনাটি প্রেমঘটিত কি-না জানি না, তবে ছেলেটি গভীর রাত পর্যন্ত আমার বাসায় থাকত যা আমার মেয়ে আমাকে বলেছে। প্রতিবাদ করলে ছোট মেয়েকে তার মা মারধর করত। স্ত্রীকে শাসন করেও থামাতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, গত বুধবার বাসা থেকে সে লাখ টাকাসহ আমার একমাত্র ছেলে রিফাতকে (১১) নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে আত্মীয়- স্বজনসহ অনেক স্থানে খুঁজেও পাঁচদিন যাবত তাকে পাচ্ছি না। ঘটনার দুদিন পর আমার স্ত্রী এক অপরিচিতি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেছে- আমি তোমার সংসার করবো না। তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। এ কথা বলে ফোন কেটে দেয়। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। এ সময় তিনি আবুনিকে না পেলেও ছেলেকে ফিরে পেতে চান বলে জানান।
তার কথা শেষ হওয়ার পরই তানভীরের মা স্বপ্না বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পাঁচদিন যাবত খুঁজে পাচ্ছি না। কে বা কারা আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে জানি না।
এ সময় পুলিশের পরিদর্শক বাহারুল খাঁন বাহার তাকে বলেন, আপনার ছেলে প্রতিবেশী আবুনি বেগমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তার স্বামী পিয়ার মিয়া অভিযোগ করছেন। এ বিষয়ে তার মা কিছুই জানেন না বলে পুলিশকে জানান।
দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে পুলিশ পরিদর্শক উপায় না দেখে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. শাহীনকে ফোনে ঘটনাটি জানান। তিনি দুই পক্ষের দুটি জিডি নিতে বলেন। দুই পক্ষই জিডিতে উল্লেখ করেছে তারা নিখোঁজ হয়েছে।
ভৈরব থানা পুলিশের পরিদর্শক ( তদন্ত) বাহারুল খাঁন বাহার বলেন, চাকরি জীবনে আমি এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। নতুন অভিজ্ঞতায় ওসির পরামর্শে ব্যবস্থা নিলাম। জিডি করেছে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে। এখন দেখি পুলিশের চেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করতে পারি কি-না। দুজনকে পাওয়া গেলে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন হবে।