ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এলাকার আধিপত্য আর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফরিদপুরের নগরকান্দার কাইচাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থেকে অস্ত্রসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সার্কেল এসপির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওঁৎ পেতে থাকে।
এ সময় একটি গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বন্দুকসহ চালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ঘটনার মূলহোতা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয় (৩৯), তাপস (৩০) ও গাড়ি চালক মো: আক্তার (২৩)।
অস্ত্রটি হানিফ মিয়ার নিজের নামে লাইসেন্স করা বলে জানা গেছে। হানিফ মিয়া নগরকান্দা এলাকার মৃত মোসলেম আলীর ছেলে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে রওশন মিয়া (৫২) ও তুহিন মিয়া (২২) দুই জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত এবং গোলাম মাওলা (৩২) নামে গুরুতর আহত আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান।
এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তারা হলেন- গোলাম রসুল বিপ্লব (২৫), আনিস মিয়া (২৪) ও রায়হান মিয়াকে (৬৫)।
আহতদের ৬ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪ জনকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঠান্ডু মিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়ের বিরোধ চলে আসছিল।
আগে একটি হত্যা মামলার কারণে হানিফ মিয়া এলাকা ছাড়া হয়ে ছিলেন। আসন্ন ঈদে তিনি এলাকায় ফিরতে চাইলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করে। এসময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে হানিফ মিয়া ও তার গ্রুপের।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ওরফে হৃদয় ঢাকা থেকে শনিবার বিকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে গেলে ঠান্ডুর সমর্থকরা তার উপর হামলা চালায়।
এসময় হানিফ তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি গুলি চালালে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
/আরএম