প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
তালেবান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর এখন পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণভার তালেবানের হাতে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর এখন পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণভার দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের হাতে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবানের পক্ষে আগেই কথা বলেও এবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া তালেবান নিয়ে মন্তব্য করলেন।
জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেছেন, মানবাধিকার ও নারী অধিকার রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে, তারা তা বাস্তবায়ন করবে বলে ইসলামাবাদ আশা করছে।
ইরানের সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডে জানায়, জেনারেল বাজওয়া শুক্রবার (২০ আগস্ট) পাকিস্তানের এবোটাবাদ শহরের একটি সামরিক ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন।
বাজওয়া বলেন, আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা ও গোলযোগের জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে যেসব বক্তব্য দেয়া হয় সে ব্যাপারে ইসলামাবাদ নীরব থাকবে না।
বাজওয়া দাবি করেন, পাকিস্তান বরং আফগানিস্তান সংকট সমাধানে সহযোগিতা করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাকিস্তানকে এ পর্যন্ত চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। তিনি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হলে তাতে উপকৃত হবে পাকিস্তান। এ কারণে দেশটির শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা করবে ইসলামাবাদ।
শেখ রশিদ আহমেদ বলেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে শিগগিরই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে তালেবান কাবুল দখলের একদিন পর সোমবার ( ২০ আগস্ট) তালেবানের উত্থান নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, এতদিন পরে দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেললেন আফগান মানুষেরা।
তবে সোমবার (১৬ আগস্ট) ইমরানের বক্তব্যের মূল কথা এসব নিয়ে ছিল না। তিনি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার বিষয়ে একটি বক্তব্যের মধ্যেই টানেন আফগানিস্তান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, অনেকেই অন্য সংস্কৃতির আদবকায়দা আয়ত্ত করে মজা পান।
কিন্তু মনে রাখবেন, অন্যের সংস্কৃতি ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটা দাসত্বের সমান। আসল দাস হয়ে বেঁচে থাকার থেকেও এটি আরও কষ্টের। এই শিকল ভেঙে ফেলা দরকার। আফগানিস্তানে সেই কাজটাই সফলভাবে পালিত হচ্ছে।
/আর এইচ এস