দেশজুড়ে
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর চলে যাওয়ার ৮ বছর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চলিচ্চত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর চলে গেছেন আট বছর হয়ে গেল।
আজ (১৩ আগস্ট) তাদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার লোকেশন দেখতে মানিকগঞ্জে গিয়েছিলেন তারেক মাসুদ, ক্যাথরিন মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ নয় সদস্যের একটি দল।
লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। বিপরীতে থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ আরও তিনজন চলচ্চিত্রকর্মী নিহত হন।
এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ‘আদম সুরত’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে একটি ভ্রাম্যমাণ গানের দলকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ তাকে আলোচনার পাদপ্রদীপে নিয়ে আসে।
তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর দীর্ঘদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎও বলা হয়। শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মিশুক।
তারেক মাসুদের ছবি ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন মিশুক মুনীর।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তাদের একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে সরকার।