দেশজুড়ে
ঢাকা জেলায় একমাত্র পিপিএম পাচ্ছেন দশহাজার গ্রামের বিলায়েত
রিফাত মেহেদী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন দুই বছর হলো। এরমধ্যে সাহসীকতা ও দক্ষতা দিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন পরিপূর্ণ ভাবে। যেখানে এত অল্প সময়ে পেশাগত দায়িত্ব বুঝে উঠতেই অনেকের হিমশিম খেতে হয়। সেখানে ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র উদ্ধার ও অপহরণসহ রহস্যজনক অনেক মামলা তদন্তে দেখিয়েছেন বীরত্বের সফলতা। এমন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পাচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর প্রেসিডেন্ট পদক (পিপিএম)। বলছি ফরিদপুরের দশহাজার গ্রামের সন্তান মো. বিলায়েত হোসেনের কথা।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া পুলিশ সপ্তাহ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করার পাশাপাশি পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) তুলে দেবেন।
এ বছর সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুরস্কারস্বরূপ চারটি ক্যাটাগরিতে পুলিশের কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ১১৮ জন সদস্য বিপিএম-পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকা জেলার পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হওয়া একমাত্র সদস্য ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের এসআই মো. বিলায়েত হোসেন।
পুলিশ বাহিনীতে বেশিদিন না হলেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি। গত ২০১৯ সালে সুদক্ষতার জন্য এবছর পিপিএম-সেবা পদক পাচ্ছেন তিনি।
যোগদানের পর থেকে ডাকাতি মামলা, অস্ত্র মামলা, খুনের আসামী, অপহরন মামলা, দেশীয় অস্ত্র মামলা সহ বেশ কিছু খাতে দেখিয়েছেন সফলতা। গত এক বছরে এসআই বিলায়েত প্রায় ১০০ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিলায়েত হোসেন ট্রেনিং সমাপ্ত করে পুলিশে যোগদান করেন ২০১৭ সালে। তার প্রথম কর্মস্থল ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানা। তারপর আশুলিয়া থানা এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা। পুলিশে চৌকসতার পরিচয় দিয়ে ডাক পান গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করার।
ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার দশহাজার গ্রামের সন্তান বিলায়েত হোসেন। তার বাবা মো. আলতাফ মোল্লা পেশায় ব্যবসায়ী। মা গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে বিলায়েত মেজো। তার বড় ভাইও ঢাকা জেলার অন্তর্গত ধামরাই থানার একজন পুলিশ সদস্য।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। দেশের মানুষের সেবা করার জন্য নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
চাকরির বয়স দুই বছর হতে না হতেই এমন পুরষ্কার যেন তার কাজের গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। কেমন অনুভূতি তা জিজ্ঞেস করতেই বললেন, চাকরির এই কয়দিনেই এমন সম্মান পাওয়া যে কত ভাল লাগার তা বলে বোঝাতে পারবোনা। আমার সিনিয়রদের দেখানো পথে চলেছি। প্রথমেই বলবো বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারি স্যারের কথা। এরপর ঢাকা রেঞ্জের আইজিপি হাবিবুর রহমান স্যার, পুলিশ সুপার মারুফ সরদার স্যারদের নির্দেশনায় ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার এর সহযোগীতায় নিমিষেই আমি এই পদকের কাছে যেতে পেরেছি। তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।