দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ঢাকায় ভয়ংকর গামছা পার্টি, দেড় বছরে ১৬ খুন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: কাজ শেষে কখনো কখনো গভীর রাতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে পরিবহন না পেয়ে যারা বিড়ম্বনার শিকার হন অনেকে। আর তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন একশ্রেণির সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। যাত্রী হিসেবে তুলে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সর্বস্ব। বাধা দিলেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা। গত দেড় বছরে গামছা পার্টি কেড়ে নিয়েছে অন্তত ১৬ জনের প্রাণ। যাদের মধ্যে রয়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও। পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এ পার্টির ৬ জন। তারপরেও রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না রাতের ঢাকার ভয়ংকর এ গামছা পার্টির।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ মে এই দেড় বছরে গামছা পার্টির হাতে প্রাণ গেছে ১৬ জনের। সবশেষ ৬ মে রাজধানীর খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের ওপর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় গামছা পার্টিই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
১৭ মে রাতে খিলক্ষেত এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে ছিনতাইকালে একটি চক্রের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে পুলিশের। দুই ছিনতাইকারী হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় এবং আরও দুজন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আটক দুজন স্বীকার করেছে, কীভাবে তারা মানুষের কাছ থেকে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
গভীর রাতে এ চক্রটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয় যাত্রীর সন্ধানে। আগেই গাড়িতে থাকে চক্রের দুজন। যাত্রী হিসেবে তুলে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সব। বাধা দিলেই শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় নির্জন কোনো ফ্লাইওভারে।
গামছা পেঁচানো অবস্থায় এখন পর্যন্ত যতগুলো লাশ পাওয়া গেছে তার সবই রাজধানীর ফ্লাইওভারে। কারণ ফ্লাইওভারগুলোতে নেই কোনো সড়ক বাতি, নেই সিসি ক্যামেরা। পুলিশ বলছে খুব দ্রুতই পুরো রাজধানী সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জুনের মধ্যে পুরো ঢাকা শহরের প্রতিটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো ব্যবস্থা করা হবে। কোনো ঘটনা ঘটরার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারব।