দেশজুড়ে
ঢাকায় দুই মাসে ৩০০ চুরি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীতে বেড়েই চলছে চোরের উৎপাত। দেয়াল টপকে বড় বড় বিল্ডিংয়ে উঠে গ্রিল কেটে লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানী থেকে দুই চোর গ্রেফতার এবং তাদের কাছ থেকে চুরির ১০ লাখ টাকা উদ্ধারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, এই মুহূর্তে চুরি ঠেকানোই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১১ সেপ্টেম্বর, রাত আড়াইটা। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসার দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে এক চোর। বারান্দার গ্রিল বেয়ে উঠে যায় তিনতলায়। দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে আলমারি থেকে ১০ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আমাদের নামাজের রুম থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়। সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, ওর এক ঘণ্টার মধ্যে এ কাজগুলো করেছে।
এ সংক্রান্ত মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ চোর শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তার নাম জিসান। সহযোগী রনিকে নিয়ে সে রাতে এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় চুরি করেছিল। রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুজন মিলে অন্তত পাঁচটি বাসায় চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সফল হয়।
দুজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরির ১০ লাখ টাকা। এ দুজনের মধ্যে জিসান পেশাদার চোর। রনি রাইড শেয়ার করলেও জিসানের সঙ্গে চুরি করতেও বের হয়। সারাদিন দুজন মিলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেকি করে। পরে রাতে চুরি করতে বের হয়।
ডিএমপির তথ্য বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে জুন মাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। জুলাই মাসে চুরির সংখ্যা ৭০টি। এ দুই মাসে বিভিন্ন সড়ক ও দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৩০০টি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, চোরদের অধিকাংশই ভাসমান। গ্রেফতার হয়ে জামিন নেয়ার পর লাপাত্তা হয়ে যায়। এদের গ্রেফতার করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ তারা প্রযুক্তিগতভাবে অনেক সচেতন।
সম্প্রতি চুরির ঘটনা তদন্তে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি চোর ধরতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।
/এন এইচ