দেশজুড়ে
ঢাকার ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ: মঞ্জুর শাহরিয়ার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কোনও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য পায় না। আমরা তথ্য পাই সিটিজেন জার্নালিজমের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘ভোক্তারাই বাংলাদেশে পরিবর্তন আনবে।’
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ভোক্তারাই বাংলাদেশে পরিবর্তন আনবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য পায় না। আমরা কাজ করছি সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে, সিটিজেন জার্নালিজম যাকে বলা হয়। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, তার সফলতা এখানেই। এই যে ভোক্তারা ধীরে ধীরে সক্ষম হচ্ছেন, তারা ফেসবুকে ছবি কিংবা ভিডিও পাঠিয়ে দেন। ভোক্তা পর্যায়ে এই সক্ষমতা যত আসবে, ততই কিন্তু খাদ্য নিরাপদ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি। আমরা অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুক্রবার আর শনিবার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করছি। বাংলাদেশের চার হাজার ৫৭২টি ইউনিয়নে আমরা ক্যালেন্ডার পাঠিয়েছি, যাতে ভোক্তারা আইনটি সম্পর্কে জানতে পারেন। ভোক্তা যখন জাগবে তখন পরিবর্তন আসতেই হবে। এদেশে অনেক আগে থেকেই খাদ্যে ভেজালের কাজ হতো। এখন বেশি বেশি সামনে আসে। কারণ, মিডিয়া সোচ্চার।’
ঢাকার ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। এটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন দাবি করে মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, ‘আমি কখনও ডকুমেন্টেশনের বাইরে কথা বলি না। আমি ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছি। যতগুলোতে পেয়েছি তার গড় ৯৩ শতাংশ। গত ১৬ জুন আমার কর্মকর্তাদের সূত্রাপুরে পাঠিয়েছি, ঠিক আছে কিনা দেখতে। ১২টি ফার্মেসির মধ্যে তারা ১১টিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পেয়েছেন। আমরা যে কাজগুলো করছি, অনেকেই ভাবেন যে, সরকারি পর্যায়ে আমরা এধরনের কাজ করতে পারি কিনা। বাংলাদেশ বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমাদের অধিদফতরে শুনানির পর তাদেরকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপরই ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই আইনটা জনগণের জন্য— এটা বুঝতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে এমন দিন আসবে যখন আমরা ওয়াসা, স্যানিটেশন, জ্বালানি নিয়ে কাজ করবো। আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে রোবট হয়ে যাই, রোবট না হলে বাংলাদেশে সমৃদ্ধি আসবে না। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এক জিনিস, আর কাজের সম্পর্ক আরেক জিনিস। আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হবে। দেশটা কারও একার না।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেইন,সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক,ক্যাবের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী ইনাম আহমেদ, সেক্রেটারি জাকির হোসেন, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিনসহ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমানের একাধিক পরিচালক।