ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ভাইরাসজনিত এ রোগের কারণে শঙ্কা বাড়ছে মানুষের মনে। তবে শুরু থেকে সচেতন থাকলে জটিলতা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
অনেকের ডেঙ্গু জ্বর বিষয়ে ভালো ধারণা নেই। কাজেই সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। এডিস ইজিপটি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। এ মশা ভাইরাসবাহী কাউকে কামড়ানোর পর অন্য আরেকজনকে কামড়ালে সেই মানুষটি আক্রান্ত হয়।
এডিস মশা স্থির পানিতে, যেমন- পরিত্যক্ত টায়ার, পানির বোতল, কনটেইনার, ফুলের টব, এয়ারকুলারের পানি ইত্যাদির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে।
ডেঙ্গু জ্বরে রোগীরা কিছুই খেতে চায় না বা পারে না। শিশু ও বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং রোগী ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পরে ও নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়। জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে, ফলে বিপাক বেড়ে যায় ও রোগীর পুষ্টির দরকার হয়। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।
ডেঙ্গু রোগীকে যা খাওয়াবেন:
১. প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার।
২. পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল যেমন ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শবরত, ফলের রস পান করা উচিত।
৩. এসব খাবার রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে।
৪. অতি মিষ্টি পানীয় খেলে বমির উদ্রেক হতে পারে। তাই বাজারের কোমল পানীয় বা আইসক্রিম সহজে পিপাসা মেটায় না।
৫. অরুচি বা বমি ডাবের জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন- ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। প্রোটিন যেমন- দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস, স্যুপ রাখুন। অনেক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর কিছু খেলেই বমি আসে। তারা হালকা শুকনো খাবার খাবেন। যেমন- বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। আদা-চা, গ্রিন-টি বা শুকনো আদা বমি ভাব কমায়। এ সময় ফল বেশি করে খেতে হবে।