দেশজুড়ে

ডেঙ্গু আতঙ্ক, কমছে ঢাকামুখী যাত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানী থেকে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এ কারণে ডেঙ্গু আতঙ্কে মফস্বল থেকে ঢাকামুখী বাস-ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই রাজধানীতে যাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের পাকশী বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে ব্যাপক হারে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ অনেকটা ভয়েই ঢাকামুখী হচ্ছেন না। ঢাকামুখী অধিকাংশ ট্রেনে ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ আসন খালি থাকছে।

একই অবস্থা ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী বাসেও। গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদীর খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার বাসে যাত্রী কমেছে।

সরেজমিনে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন পরিদর্শন করে দেখা গেছে ঢাকাগামী সব আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় নেই বললেই চলে। একই রকম চিত্র উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বাসটার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনেও।

জানা গেছে, ঢাকাগামী যাত্রীদের অনেকেই অগ্রিম কেটে রাখা টিকিটও ফেরত দিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডেঙ্গু আতঙ্কে কেউ ঢাকামুখী হচ্ছেন না।

শনিবার ঈশ্বরদী বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস বাসের পরিচালক সাইদুল ইসলাম জানান, সাধারণত বাসের কোনো আসন খালি থাকে না। অথচ গত কয়েকদিন ধরে অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। গত দু’দিন ধরে ঈশ্বরদী থেকে সবগুলো বাসই অর্ধেক আসন খালি নিয়ে ঢাকা গেছে।

ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস, সুপার সনি এক্সপ্রেস, পাবনা এক্সপ্রেস, শাহজাদপুর ট্রাভেলস এবং চট্টগ্রামগামী শ্যামলী এক্সপ্রেস- প্রতিটি পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতারা জানান, ঢাকামুখী প্রতিটি বাসই প্রায় অর্ধেক আসন খালি অবস্থায় ছাড়তে হচ্ছে।

ঈশ্বরদী এক্সপ্রেসের কাউন্টারে আসা হাসান আহমেদ নামে এক যাত্রী জানান, কয়েকদিন আগে কেটে রাখা টিকেট ফেরত দিতে এসেছেন তিনি।

আরেক যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় গেলে ডেঙ্গুজ্বর হতে পারে এই ভয়ে তিনি আপাতত যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।

এদিকে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস, বেনাপোল থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকাগামী বিরতিহীন বেনাপোল এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনসহ অন্যান্য সব ট্রেনেই যাত্রী কমেছে প্রায় ৫০ ভাগ।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার ও ভারপ্রাপ্ত স্টেশন সুপার আসলাম হোসেন জানান, সবগুলো ট্রেনে কয়েকদিন আগেও যেমন উপচেপড়া ভিড় ছিল, গত দু’দিন ধরে তা নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close