দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

ডিমের ডজন ৮৫ টাকা, চাহিদা বেশি মাছ-মাংসের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বেশিরভাগ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক। কারও কারও হাতে গ্লাভস। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চার ফুটের দূরত্বের বিষয়টি জানলেও মানা যেন কঠিন। পবিত্র শবে বরাতকে ঘিরে নগরের কাঁচাবাজার, মুদির দোকানে বুধবারের (০৮ এপ্রিল) চিত্র ছিলো এমনই। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বন্ধ থাকায় দিনের বেলা ক্রেতারা কেনাকাটা সারতে অভ্যস্ত হচ্ছেন বলে জানান দোকানিরা।

কোতোয়ালী থানাধীন আসকার দীঘির দক্ষিণপাড়ের কাঁচাবাজারে মুরগির দোকানে বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০ টাকা। প্রতি ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮৫ টাকা।দোকানি মো. আলমগীর জানান, অন্যান্য বছর শবে বরাতে যে পরিমাণ মুরগি আর ডিম বিক্রি হতো এবার সিকি ভাগও হয়নি। করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা খারাপ।

মুদি দোকানে বেশি চাহিদা হালুয়া-রুটির উপকরণ আটা, ময়দা, সুজি, ঘি, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচি, পোলাও চাল ইত্যাদির। বেশি বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, লবণ ইত্যাদিও। দোকানিরা জানান, বসুন্ধরাসহ বড় বড় শিল্পগ্রুপের প্যাকেটজাত ভোগ্যপণ্যের চাহিদাই বেশি। এসব পণ্যে মান, ওজন ও মূল্যের বিষয়ে আস্থা বেশি ভোক্তাদের। নিম্নআয়ের লোকজনই খোলা পণ্য কিনছেন। খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

কাজীর দেউচাবাজারে মাছ বিক্রেতা মিন্টু সরকার জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ ভালো, দামও কিছুটা কম। মোটামুটি ভালোই চলছে বেচাকেনা। শবে বরাত উপলক্ষে মাংসের চাহিদা বেশি হলেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান দোকানিরা। বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী রহিমা বেগম বলেন, প্রতি বছর চট্টগ্রামের রেওয়াজ অনুযায়ী মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেশ কিছু কোরমা-পোলাও, হালুয়া রুটি পাঠাতাম। এবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ঘরে থাকা কর্মসূচির কারণে এসব পাঠাতে বারণ করেছে। তাই কম বাজার করছি।

আবদুল করিম জানান, শবে বরাতে তিন দিন নফল রোজা রাখছি সপরিবারে। তাই সেহেরি, ইফতারের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি অনিচ্ছা সত্ত্বেও। খেজুর, লেবু, পুদিনা পাতা, মুড়ি, চিঁড়া, শসা, সবজি কিনেছি।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close