দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দশ বছরে মোট ৫৫ কোটি সেবা দেয়া হয়েছে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের এক দশকপূর্তি আজ। এ সেন্টারের মাধ্যমে দশ বছরে মোট ৫৫ কোটি সেবা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের ১৬৮ কোটি সমপরিমাণ কর্মঘণ্টা ও ৭৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এর আগে, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে যা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে পরিচিত।
বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারে ২৭০ এর বেশি সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জমির পর্চা, নামজারি, ই-নামজারি, পাসপোর্টের আবেদন ও ফি জমা, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, হজ রেজিস্ট্রেশন, সরকারি সেবার ফরম, টেলিমেডিসিন, জীবনবীমা, বিদেশে চাকরির আবেদন, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, বাস-বিমান-লঞ্চ টিকেটিং, মেডিকেল ভিসা, ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট।
সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪২৯টি এবং ৫ সহস্রাধিক নারী উদ্যোক্তাসহ মোট উদ্যোক্তা ১৩ হাজারের অধিক। একজন উদ্যোক্তা সেবাপ্রদানের মাধ্যমে মাসে প্রায় ৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। গড়ে প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ সেবা নিয়ে থাকেন।
এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ, সিম বিক্রয়, বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ, ই-মেইল, কম্পোজ-প্রিন্ট-প্রশিক্ষণ, ফটো তোলা, ফটোকপি, সরকারি ফরম ডাউনলোড করা, পরীক্ষার ফলাফল জানা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবদেন করা, অনলাইন ভিসার আবেদন করা, কৃষি পরামর্শ ও তথ্য সেবা ইত্যাদি।
২০১৩ সালে দেশের সব পৌরসভার ‘পৌর ডিজিটাল সেন্টার’ এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডে ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’ চালু করা হয়। ২০১৮ সালে যার মধ্যে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য গাজীপুরে ৫টি এবং মৎস্যজীবী শ্রমিকদের জন্য খুলনার রূপসায় ১টি ‘স্পেশালাইজড ডিজিটাল সেন্টার’ চালু করা হয়। ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ১৩টি ‘এক্সপাট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার’ স্থাপন করা হয়।
দেশের নাগরিকদের জীবনমান পরিবর্তনে ইতিবাচক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিজিটাল সেন্টার ২০১৪ সালে ই-গভর্নমেন্ট ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।
/এন এইচ