দেশজুড়ে
ডিএনসিসি নির্বাচন; আতিকুলের চা, তাবিথের দুর্ব্যবহার!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে। এদিকে ভোটে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে একটি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন শরফুদ্দিনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়ার শোরগোলও উঠেছে।
একজন সাধারণ চায়ের দোকানির দোকানে বসে নিজের হাতে চা বানিয়ে নিজের নির্বাচনী কর্মীদের পাশাপাশি ভোটারদের মাঝে পরিবেশন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এক বা দুই কাপ নয়, বিরতিহীনভাবে বানিয়েছেন ৮ কাপ চা। ভোটার ও কর্মীদের চা পান শেষে দোকানি ইয়াসিনকে বকশিশ দিয়েছেন ৮০০ টাকা!
দুই মেয়র প্রার্থীর এমন দু’টি বিষয় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাপিয়ে সাধারণ ভোটারদেরও মুখে মুখে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে দুই প্রার্থীর এমন দু’টি কর্মকান্ডের খবর। একজন এমন ঘটনায় ভোটারদের কাছে নিন্দিত হচ্ছেন আরেকজন হচ্ছেন প্রশংসিত। এমন ঘটনায় বদলে যাচ্ছে ভোটের হিসাব-নিকাশ।
জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের চতুর্থ দিনে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ডিএনসিসি’র বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জনসংযোগ করেছেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপি’র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তবে তৃতীয় দিনে রোববার (১২ জানুয়ারি) গোল বাঁধিয়ে বসেন তাবিথ।
ওইদিন সকালে মিরপুর মাজার গেইট থেকে প্রচারণা শুরু করে বিকেলে স্থানীয় পাইকপাড়ায় জনসংযোগ করেন তাবিথ। এ সময় পাইকপাড়া আহমেদিয়া জামে মসজিদের সামনের সরু গলিতে লিফলেট বিতরণের সময় ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন শরফুদ্দিন তাবিথকে কাছে পেয়ে মসজিদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তাবিথ মেয়র নির্বাচিত হলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু মুয়াজ্জিন তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইলে খেঁই হারিয়ে ফেলেন বিএনপি’র প্রার্থী। স্থানীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলী আকবর অভিযোগ করে বলেন, ‘তাবিথ আউয়াল মুয়াজ্জিনকে ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলে দিয়েছেন। এতে তিনি হাতে-পায়ে চোট পেয়েছেন। নগর পিতা না হয়েই যদি তাঁর এই অবস্থা হয় তবে মেয়র হলে তিনি টাকার গরমে মানুষকে মানুষই মনে করবেন না। আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেননি।’
স্থানীয়রা বলছেন, একজন জনপ্রতিনিধির ধৈর্য্য বড় গুণ। এই গুণের কারণেই তিনি জননন্দিত হন। কিন্তু মাথা গরম স্বভাব একজন প্রার্থীকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আগেভাগেই এই বিষয়টি জনসম্মুখে আসায় ভোটের মাঠে আস্থা হারাবেন ওই প্রার্থী।