দেশজুড়ে
ডাস্টবিন থেকে মরা মুরগী তুলে এনে বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ডাস্টবিনে মুরগী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ফেলে যাওয়া মরা মুরগী বিভিন্ন হোটেলে নামমাত্র বিক্রি করতো। সেই মরা মুরগীগুলো হোটেলের ক্রেতাদের খাবার হতো। এমনই অপরাধের কথা নিজ মুখে স্বীকার করেছে নারায়ণগঞ্জের ডোম তনু দাশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের চাষাড়া প্রেসিডেন্ট রোডে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটকের পর বিষয়টি প্রকাশ হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে তার অপরাধের পুরো বিষয়টি স্বীকার করে সে।সেই অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। পাশাপাশি একই এলাকার মক্কা-মদিনা নামে একটি স্টোরকে ২০ হাজার ও হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে যৌথভাবে নেতৃত্বে দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার ও আজিজুর রহমান। তবে অভিযানকালে তনু দাসের সহযোগী জব্বার পালিয়ে যায়।আটকের পর স্বীকারোক্তিতে তনু দাস ভ্রাম্যমান আদালতকে জানায়, পেশায় সে একজন ডোম। শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে মরা মুরগী কুড়িয়ে এনে প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় ও চাষাড়া হকার্স মার্কেটের কয়েকটি খাবার হোটলকে সে ও তার সহযোগী জব্বার সরবরাহ করতো। বিনিময়ে হোটেল মালিকের কাছ থেকে তারা ৫শ থেকে ৬শ টাকা করে পেতো। এভাবেই তারা দীর্ঘদিন ধরে মরা মুরগী সরবারহ করে আসছিলো খাবার হোটেলগুলোতে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, মরা মুরগি দোকানে দোকানে সরবরাহ করার অপরাধে তনু দাসকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতে তনু দাস দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মক্কা-মদিনা নামে একটি স্টোরকে ২০ হাজার ও হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
/এন এইচ