দেশজুড়ে

ডাকসু হামলার মামলায় প্রাধান আসামি সঞ্জিত ও সাদ্দাম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতিসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন ভিপি নুরুল হক নুরে পক্ষ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে এক নম্বর আসামি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন।

আসামীরা হলেন- (১) সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, (২) সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, (৩) আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, (৪) আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, (৫) সনেট মাহমুদ, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি শাখা, (৬) ইয়াসির আরাফাত তুর্য, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি, (৭) মারিয়াম জাহান খান, ভিপি, সূর্যসেন হল সংসদ, (৮) শেখ মুহাম্মদ অনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ, (১৯) আঙ্গুর আলীম খান, ভিপি, এ,এফ, রহমান হল সংসদ, (১০) আবু ইউনুস, এজিএস, বিজয় একাত্তর হল সংসদ, (১১) রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, সদস্য, ডাকসু, (১২) মাহমুদুর হাসান, সদস্য, ডাকসু, (১৩) সাদ বিন কাদের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ডাকসু, (১৪) রবিউল হোসেন রানা, সহ-সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ, (১৫) নিয়ামত উল্লাহ তপন, শিক্ষা বিষয়ক উপ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (১৬) হাসিবুল হাসান শান্ত, জিএস, জিয়া হল সংসদ, (১৭) সিফাতুজ্জামান খান, ক্রীড়া সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (১৮) মিজানুর রহমান মিজান, জিএস, মহসীন হল সংসদ, (১৯) ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (২০) আব্দুর রহিম সরকার, জিএস, এ.এফ রহমান হল সংসদ, (২১) অনজিল ইমরান তালাশ, সাহিত্য সম্পাদক, এ.এফ রহমান হল সংসদ, (২২) মাহমুদুল হাসান বাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ, (২৩) সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, জিয়া হল ছাত্রলীগ, (২৪) মামুন বিন সার, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (২৫) ইবনুল হাসান উজ্জল, (২৬) খাজা আয়ের সুজন, উপ-স্কুল বিষয়ক দিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (২৭) খান মিলন হোসেন নীরব,এস.এম. হল ছাত্রলীগ, (২৮) ইমরান আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগ, (২৯) হৃদয় হাসান সোহাগ, গণশিক্ষা সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ, (৩০) উজ্জল, চারুকলা ছাত্রলীগ, (৩১) আরিফুল ইসলাম, (৩২) ফাতিমা রিপা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, (৩৩) আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (কামাল গ্রুপ), (৩৪) আইনুল ইসলাম মাহবুব, যুগ-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, (৩৫) মেহেদী হাসান নিবিড় (৩৬) মেহেদী হাসান শান্ত, জিএস, বঙ্গবন্ধু হল সংসদ (৩৭) জীবন রায়, সহ সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে- সময় আনুমানিক দুপুর ১২টায় আমি আমার সংগঠনের সদস্যরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কক্ষে অবস্থান করি। হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমার কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিতভাৰে লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে চলে যায়। তারা পুনরায় যেন হামলা করতে না পারে, তাই ডাকসু কর্মচারীদের সহায়তায় ডাকসুর মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু’র এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডাকসুর মূল ফটকের তালা খুলে আমার কক্ষে প্রবেশ করে।

আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় দফা হামলা চালান। তারা আমার কক্ষের বাতি নিভিয়ে দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় আমার ডান হাত এবং ডান পাঁজর মারাত্মকভাবে জখম হয়।  এই অতর্কিত হামলায় প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close