ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরও এক শীর্ষ সহযোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তার আক্রান্তের খবর সামনে আসছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই ট্রাম্প এবং তার স্ত্রীর দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনদিন চিকিৎসা শেষে স্থানীয় সময় সোমবার হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন ট্রাম্প।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তার নাম স্টিফেন মিলার। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে হোয়াইট হাউসের প্রায় ডজনখানেক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলেন।
এর আগেই তার দেহে করোনার মৃদু উপসর্গ ধরা পড়ে। এক বিবৃতিতে মিলার জানিয়েছেন, ‘গত পাঁচদিন ধরে আমি কিছুটা দূরত্ব মেনে চলছি এবং সেলফ আইসোলেশনে আছি। গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিনই করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু আজ কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে এবং আমি কোয়ারেন্টাইনে আছি।’
গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর শুক্রবার তাকে একটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেইলেইহ ম্যাকএনানি এবং প্রেস অফিসের আরও তিন কর্মকর্তার দেহেও করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এছাড়া হোয়াইট হাউসের কমপক্ষে তিন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস তার স্টাফদের নিরাপত্তার জন্য করোনা সংক্রান্ত নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডির করোনায় আক্রান্তের সাম্প্রতিক খবরে হোয়াইট হাউসের স্টাফদের সম্পূর্ণ পিপিই পরিধান এবং সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরাসরি সংস্পর্শে থাকা লোকজনকে প্রতিদিনই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে যে, তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কীনা। এছাড়া সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের করোনা নেগেটিভ ধরা পড়েছে। বুধবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তার বিতর্কে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
/এন এইচ