প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
ট্যানারি শিল্পের যন্ত্রাংশ আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা চান উদ্যোক্তারা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গত দুই বছর যাবত চামড়া শিল্পে রপ্তানি আয় বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এই শিল্পের যে সম্ভাবনা আছে, সেই তুলনায় রপ্তানি আয় খুবই কম। এ জন্য আসন্ন বাজেটে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কমুক্তসুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন চামড়া খাতের উদ্যোক্তারা।
তবে, আসন্ন বাজেটে চামড়া শিল্পে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় হয়েছিলো, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর পর এই শিল্পে ধস নামে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই আয় ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে। তবে এই খাতে রপ্তানি আয় আবারো বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই খাত থেকে ১০১ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এ মধ্যে সিংহভাগ এসেছে জুতা রপ্তানি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভাবনা থাকলেও এ শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
এজন্য আসন্ন বাজেটে এই শিল্পের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কমূক্ত সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
স্কর্ট ফুটওয়্যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীন আহমেদ বলেন, ‘রপ্তানির যে কাঁচামালগুলো এবং যে যন্ত্রাংশগুলো আমরা আনি, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আসলে শুল্ক উঠিয়ে দেয়া উচিৎ। এখানে দেখা যায় যে, কোন কোন ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আমরা খুচরা যন্ত্রাংশ ট্যাক্স দিয়ে এখানে এনে আমরা মেশিনগুলো চালাচ্ছি।’
সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এ শিল্পে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়া হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। বিশাল বাজার আছে। রপ্তানিতে যারা আছেন তারা যদি বলতেন তাদের কোন কোন খাতে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে, আমরা সেটি বিবেচনা করব।’