বিশ্বজুড়ে
টুইটারে ১৮ দিন পরেই মোদীকে ‘আনফলো’ করলেন ট্রাম্প!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গত ১০ এপ্রিল থেকে নজিরবিহীনভাবেই নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের টুইটার ফলো করতে শুরু করেছিলো হোয়াইট হাউজ।
যুক্তরাষ্ট্রকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়ার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করছিলো হোয়াইট হাউজ। তবে তারপর তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই মোদীর টুইটার “আনফলো” করে দিলো হোয়াইট হাউজ।
তারসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর অফিস ও ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসকেও আনফলো করে দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় তথা বাসভবন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এসব খবর জানায়।
হোয়াইট হাউজের টুইটার ফলোয়ার সংখ্যা দু’কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি। তবে হোয়াইট হাউজ সাধারণত অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফলো করে না। তবে গত ১০ এপ্রিল থেকে নজিরবিহীনভাবেই নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের টুইটার ফলো করতে থাকে হোয়াইট হাউজ। এরপর এই সবগুলো অ্যাকাউন্টকেই ‘ফলোইং’-এর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।কেনইবা ফলো আর কেনইবা ‘আনফলো’!
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার পর ভারতের কাছে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ভারত এই ওষুধ না দিলে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ভারত সেই ওষুধ আমেরিকায় পাঠায় গত ৮ এপ্রিল। ওষুধ পৌঁছতেই ভারতবাসী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তার দু’দিন পরে মোদী, প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও অন্যান্য ভারতীয় অ্যাকাউন্টগুলি ফলো করতে শুরু করেছিলো হোয়াইট হাউজ।
এর আগে হোয়াইট হাউজ মোট ১৯টি ভারতীয় টুইটার ফলো করলেও সেখান থেকে ৬টি অ্যাকাউন্ট বাদ যাওয়ার পর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ১৩। সূ্এঃ আনন্দবাজার
/এন এইচ