শিল্প-বানিজ্য
টুইটারের ব্যয় ৩৩ মিলিয়ন ডলার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চলতি বছরের এপ্রিলে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনীর সঙ্গে টুইটার বিক্রির চুক্তিতে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি এপ্রিল ও জুন মাসে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
গত শুক্রবার (২২ জুলাই) টুইটার জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে পরিচালিত হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় টুইটারের আয়ও কমেছে। আর এর জন্য টুইটার ইলন মাস্কের মুলতবি থাকা চুক্তিকেই আংশিকভাবে দায়ী করেছে।
টুইটার জানিয়েছে, মাসিক দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৩৭ মিলিয়ন ছাড়ালেও তাদের নেট লোকসান ২৭০ মিলিয়ন ডলার, যা তাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। এপ্রিল থেকে জুনে টুইটারের আয় ১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার হওয়ার ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা।
গত বছরের একই সময়ের ৩০ মিলিয়ন ডলার অপারেটিং মুনাফার তুলনায় কোম্পানিটি ৩৪৪ মিলিয়ন ডলারের অপারেটিং লোকসান করেছে।
টুইটার অধিগ্রহণের চুক্তি নিয়ে বেশ কিছুদূর এগোনোর পর নিজের অবস্থান পাল্টে ফেলেন ইলন মাস্ক। তবে তাকে চুক্তিতে রাখতে টুইটার অনেকটাই মরিয়া হয়ে আছে। এ বিষয়টির ফসসালা অক্টোবরে আদালতে হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে কোনো পক্ষ টুইটার চুক্তি বাতিল করলে ১ বিলিয়ন ডলার জরিমানার কথা উল্লেখ রয়েছে সমঝোতার শর্তে। ‘অধিগ্রহণ মুলতবির’ কারণ দর্শিয়ে নিজেদের সবশেষ আর্থিক ফলাফলের প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে টুইটারের আয় ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত ১২ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আয়ের বিবৃতিতে টুইটার হতাশাজনক ফলাফলের জন্য ম্যাক্রোএনভায়রনমেন্টের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞাপন শিল্পের হেডওয়াইন্ডের পাশাপাশি টুইটার অধিগ্রহণের মুলতবি হওয়া চুক্তিকে দায়ী করেছে।
ফরেস্টার ফার্মের বিশ্লেষক মাইক প্রউলক্স বলেন, সব নাটকের আসল শিকার হচ্ছে টুইটার নিজেই।
এর আগে ১২ জুলাই টুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাস্ক টুইটারের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করেছে। সে ভাবছে চাইলেই যখন-তখন কোনো চুক্তি বাতিল করা যায়, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো যায় ও রাতারাতি কথা বদলে চুক্তি বাতিল করা যায়। মাস্কের এ ধরনের আচরণ ন্যায়সংগত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। /সূত্র: বিবিসি ও আরটি
/এএস