ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু ঠেকাতে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১৪ কোটি নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
গতকাল শনিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। এর মাধ্যমে ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শনিবার সারাদেশে মোট ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ জনকে দেয়া হয়েছে করোনার টিকা। এর মধ্যে করোনার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে রেকর্ড ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৯৮ জনকে।
টিকাগ্রহণ ও টিকা নেয়ার পর করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো-
১. ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে।
২. সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায়ও প্রতি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।
৩. যাদের বয়স ১৮ বা তদূর্ধ্ব তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রথম দুই ঘণ্টা শুধু নারী ও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল পুরুষকে টিকা দেয়া হবে।
৫. যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লিখিত টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
টিকা নেয়ার পরে করণীয়
১. টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২. টিকা নেয়ার পর যে কোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে খবর দিন। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
এছাড়া টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর হতে অন্তত ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এছাড়াও সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় হাত/রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে।
/আর এইচ এস