দেশজুড়ে
টিকটক ভিডিও করায় স্ত্রীকে খুন করে স্বামী নিজেই থানায়
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ও লাইকিতে ভিডিও তৈরী এবং পোস্ট করা নিয়ে ঝগড়ায় বাগেরহাটে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। নিজের অপরাধ স্বীকার করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করেছেন ঐ ব্যক্তি। শনিবার রাতে বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোমা আক্তার, বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগের (অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
আর হত্যার দায় স্বীকার করা স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম শহরের দশানী এলাকার গোলাম মোহাম্মদের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন।
নিহতের বড় বোন নাজমা আক্তার জানান, ২০১৯ সালে সোমা এবং নাইম প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বেকার থাকায় দু’জন রোজগার করতে টিকটক ভিডিও তৈরি করে তাদের একাউন্টে পোস্ট করতেন। এর থেকে আসা আয় দিয়ে তাদের সংসার বেশ ভালই চলে যাচ্ছিল।
এর মধ্যে নাইম একটি বায়িং হাউজে চাকরি পেয়ে ঢাকায় চলে যান। সোমা বাবার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি টিকটকে ভিডিও তৈরি করছিল। নিহত সোমার পরিবারের অভিযোগ, ঢাকায় যাওয়ার পর নাইম মাদকাসক্ত হয়ে যায়। শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করে বাড়িতে নিয়ে যান নাইম।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মীর মো. সাফিন মাহমুদ বলেন, সোমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ভিডিও বানিয়ে তার একাউন্টে পোস্ট করাটা তার স্বামী নাইমের পছন্দ ছিলো না।
তাকে এসব করতে নিষেধ করা হলেও সোমা তা শোনেনি। পরে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়। বিবাদের এক পর্যায়ে নাইম ক্ষিপ্ত হয়ে সোমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে সোমাকে হত্যা করে। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে অপরাধ স্বীকার করেন নাইম।
এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে নাইমের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
/আরএম