দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
টাঙ্গাইলে ১০১ গ্রাম প্লাবিত, সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে ফের যমুনাসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার যমুনা নদীর পানি বিপসসীমার ৪৫ সে.মি. উপরে, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮৮ সে.মি. এবং ঝিনাই নদীর পানি ৪৯ সে মি. বিপসসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী এবং গোপালপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে এই উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭১ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও ৩ হাজার ৬১৩ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপ¶ জানায় নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাবে।
জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী এবং গোপালপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। আর এতে করে ২১ টি ইউনিয়নের অন্তত ১১ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭১ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৫৩২টি পরিবারের ঘরবাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও নাগরপুরে ১ টি স্কুল নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ৬ উপজেলার ১৪৭ বর্গ কিলোমিটার প্লাাবিত হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আগের থেকে ফসলী জমিতে পানি নিমজ্জিত হওয়ার সংখ্যা কমেছে। এখন বর্তমানে ৩ হাজার ৬১৩ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে বোনা আমন ৯৯২ হেক্টর, রোপা আমন (বীজতলা) ৯ হেক্টর, পাট ৪৬৭ হেক্টর, আউশ ৭৬ হেক্টর, সবজি ২১৭ হেক্টর, তিল ১২২২ হেক্টর নিমজ্জিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রধারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার ঢাকা অর্থনীতিকে বলেন, পানি নেমে গেলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ফসলী জমির কোন ¶তি হবে না। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস কাজ করছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিজ্ঞান শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম ঢাকা অর্থনীতিকে বলেন, আজ শুক্রবার যমুনা, ধলেশ্বরীর, ঝিনাই, পুংলী, বংশাই, ফটিকজানি পানিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সামনে আরো নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
/এন এইচ