দেশজুড়ে

টাঙ্গাইলে সৎ মায়ের হাতে যেভাবে খুন হয় ছোট্ট সাইফ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশু সাইফ উদ্দিনকে তার সৎমা হাত-পা বেঁধে বাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন। ৩০-৪০ মিনিট পর ঘর খুলে দেখতে পান সাইফ বেঁচে নেই। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই সাইফকে বাথরুমে পানির বালতিতে মুখ ডুবিয়ে রাখেন। পরে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে সাইফের বাবাকে ফোন দেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সাইফের সৎ মা সাবরিনা নাহার সিনথি আদালতে দেয়া সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা সুলতানা সাবরিনা নাহারের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন আদালত।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, শহরের আমিন বাজার এলাকায় সাইফের বাবা ভাড়া বাসায় থাকতেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে নিহত সাইফের সৎ মা ফোন করে সাইফের বাবা মো. সালাউদ্দিনকে জানান, অজ্ঞাতনামা তিনজন দুস্কৃতিকারী তাদের বাসায় ঢুকে তার ও ছেলের হাত-পা বেধে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। তারা যাওয়ার সময় সাইফকে বাথরুমে পানির বালতিতে ডুবিয়ে রেখে গেছে। ফোন পেয়ে সাইফের বাবা তার কম্পিউটার সেন্টার থেকে বাসায় গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। সাবরিনা নাহারের ঘটনার বর্ণনা তাদের রহস্যজনক মনে হয়। পরে পুলিশ সাবরিনা নাহার ও তার স্বামী সালাউদ্দিনকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাবরিনা সাইফকে হাত-পা বেঁধে ঘরে আটকে রাখার এক পর্যায়ে মৃত্যু হয় বলে জানান। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close