বিশ্বজুড়ে
টাকার বিনিময়ে অস্ত্র জমা দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পর সরকার ঘোষিত প্রকল্পের আওতায় নিউ জিল্যান্ডের নাগরিকরা তাদের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। শনিবার প্রথমবারের মতো ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে অস্ত্র জমা নেওয়া হয়। এদিন আড়াই শতাধিক অস্ত্র জমা পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ২২৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের বিপরীতে বন্দুক মালিকদের প্রায় ৪ লাখ ১৩ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ১৬৯ জন। জমা দেওয়ার পর অস্ত্রগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার মাইক জনসন বলেন, পুলিশ বুঝতে পারছে আইন মেনে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা মানুষের এটা বড় ধরনের পরিবর্তন। অস্ত্র জমা দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার কারণে আমরা সারাদিন মানুষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
জনসন জানান, ক্যান্টেবুরি অঞ্চলের নয় শতাধিক বন্দুক মালিক ১ হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে নিবন্ধন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন্দুকধারী জানান, আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জমা দিয়ে ১৩ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার পাওয়ায় তিনি আনন্দিত। বলেন, আমি ভাবিনি এটা নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া হবে। আমি মোটেই খুশি ছিলাম না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সুষ্ঠুভাবে কাজটি সম্পাদন করেছে।
আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সংগ্রহের জন্য দেশটির সরকার ১১০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের একটি প্রকল্প নিয়েছে।
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা চালায়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গুলি চালিয়ে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করে ট্যারান্ট। নির্বিচার হামলার দায়ে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী’ ব্রেন্টন ট্যারান্টের বিরুদ্ধে ৮৯টি অভিযোগ এনেছে নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ। এই ঘটনার পর এপ্রিলে দেশটিতে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাস হয়।