প্রধান শিরোনাম
জ্বালানির দাম বাড়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাকখাত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের তৈরি পোশাকখাত। তবে, ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়েই বছর শেষ করতে আত্মবিশ্বাসী ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার তেমন কিছু নেই। তবে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে গেলে দেশের বাজারে যদি কমানো না হয়, তাহলে প্রতিযোগিতার বাজারে সত্যি সত্যি বিপদে পড়বে এ খাতটি।
শ্রমে-ঘামে স্বপ্ন বুনে এগিয়ে চলছে তৈরি পোশাকশিল্প। ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলার রফতানি আয় আর ৩৫.৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ করেছে এ খাত। বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছর এই শিল্পের আয় বাড়বে ১০ শতাংশ।
তবে, এক রাতে ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির পর প্রশ্ন উঠেছে: লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে কি দেশের প্রধান রফতানি খাত?
এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্প মালিকরা বলছেন, হঠাৎ ব্যয় বৃদ্ধিতে বেড়েছে চ্যালেঞ্জ। তবে যে ধরনের পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ, তাতে মন্দার মধ্যেও চাহিদা থাকবে বিশ্ববাজারে।
বিকেএমইএ-র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ায় কাঁচামালের খরচ বেড়ে যাবে। জাহাজ-কনটেইনারের ভাড়া বাড়বে। কিছুদিন পর বিদ্যুৎ বিভাগও বলবে, জ্বালানির দাম বেড়েছে, তাই বিদ্যুতেরও দাম বাড়াতে হবে। অর্থাৎ, সবকিছুর খরচই বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি যতটা-না চাপে ফেলেছে, তার চেয়ে বেশি বিপদে পড়বে যদি এই খাতটি বিশ্ববাজারে দাম কমের সঙ্গে দেশের বাজারে কমানো না হয়।
তৈরি পোশাকশিল্পের বিশেষজ্ঞ অমিত কে বিশ্বাস বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটাকে ভবিষ্যতে যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী সমন্বয় না করা হয়, তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি সামনে চলে আসবে। অন্যান্য দেশে জ্বালানির দাম কমতির দিকে থাকলেও যদি আমাদের দেশে বাড়তে থাকে, তাহলে ক্রেতারা তো আমাদের পণ্য নিয়ে চিন্তা না-ও করতে পারে। তারা যেখানে কম খরচে পণ্য কিনতে পারবে, সেখানেই ঝুঁকবে।’
একই সঙ্গে টেকসই বাজার না ধরে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে গেলে যেন কারখানা সম্প্রসারণে না যায় মালিকপক্ষ, সেই পরামর্শও তাদের।