দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

জেকেজি সিইও আরিফুল; নেশার জন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে চান ইয়াবা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা টেস্টের নামে মানুষের কাছ থেকে নমুনা নিতেন। তা পরীক্ষা না করেই দিতেন ভুয়া রিপোর্ট। বিষয়টি ধরা পড়লে গ্রেপ্তার হন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল চৌধুরী। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে তার নানা কাহিনী। গ্রেপ্তারের পর লোক ডেকে, থানায় হামলা চালান তিনি। ভেঙেছেন থানার সিসিক্যামেরা। নেশার জন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে চান ইয়াবা। করোনার ভুয়া রিপোর্টের বিষয়ে কয়েকজন স্বীকারও করেছেন বলে দাবি, পুলিশের।

অনুমতি না থাকার পরও মানুষের বাসায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে করোনার স্যাম্পল নিতো তারা। পরে রাস্তায় নমুনা ফেলে দিয়ে বানোয়াট রিপোর্ট দিতো মানুষকে। এ ঘটনায় গত ২৩ জুন ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই দিন সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় হামলা চালায় আরিফুল চৌধুরীর সহযোগীরা। লাঞ্ছিত করে দায়িত্বরত পুলিশকে, ভাংচুর করে সরকারি সম্পত্তি। সেই আরিফুল চৌধুরী, আবু সাঈদ ও হুমায়ূন কবীররা উস্কানি দেয় সে হামলায়। থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মিলেছে এসব দৃশ্য।

তবে আরো ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে, নেশাগ্রস্ত আরিফ পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভাংচুর করেছেন থানার ভেতর। ভেঙ্গেছেন সিসি ক্যামেরা, ফ্যানসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার সরকারি সম্পদ। এমনকি নেশা করতে ইয়াবাও চান পুলিশ সদস্যদের কাছে।

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি নমুনা সংগ্রহ বুথ ছিলো জেকেজি হেলথ কেয়ারের। মঙ্গলবার জালিয়াতি সামনে আসার পর থেকেই বুথ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। রাজধানীল মহাখালির তিতুমীর কলেজে গিয়ে দেখা মেলে পরিত্যক্ষ এসব বুথের। অশ্লীলতা, মাদকসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায়, এ মাসের শুরুতে তিতুমীর কলেজের স্টাফদের ওপর হামলা করেছিলো জেকেজির লোকজন। তারা বলছেন, করোনা পরীক্ষার কারণেই সুবিধা পেতো আরিফুলরা।

রাজধানীর সবুজবাগের বুথেও হাতে লেখা নোটিশ দিয়ে বন্ধ হয়েছে জেকেজির নমুনা সংগ্রহ। প্রশ্ন হলো, যারা এরই মধ্যে নমুনা দিয়েছেন, তাদের কি হবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ আরিফুলদের সহযোগিতা করতো কিনা সে ব্যাপারেও খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ। সৌজন্যেঃ চ্যানেল ২৪

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Kdy je nejlepší čas Jen rozený špion: Najděte kočičku mezi listy Tajemství šéfkuchaře: Jak dlouho vařit vejce, aby Pouze "Herkules" rychle uhodne Neuvěřitelná hádanka pro novoroční náladu: Hledání hrací Skvělý detektiv řeší silvestrovskou hádanku: Kočku
Close
Close