রাজস্বশিল্প-বানিজ্য
জুলাই মাসেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০ কোটি ডলার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রেমিট্যান্সে সুখবর দিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই পরিমাণ মাস হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি অর্থ দেশে পাঠানোয় এর পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া এবারের বাজেটে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর আগে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠান গত মে মাসে। যার পরিমাণ ছিল ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এই পরিমাণ রেমিট্যান্স ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো গেলো জুলাইয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
অন্যদিকে নয়টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরের হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম ঠিক থাকা এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে গতকাল প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। এক বছর আগে ৩০ জুন ডলার-টাকার বিনিময় হার ছিল ৮৩ টাকা ৭৭ পয়সা। এদিকে রেমিট্যান্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।