দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
Trending

‘জীবনে প্রথমবারের মত পরিচয়পত্র পেল রোহিঙ্গারা’

বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র পেয়েছে ৫ লাখ রোহিঙ্গা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তৈরি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর কর্তৃক যৌথভাবে রোহিঙ্গাদের এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে।

বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত পরিচয়পত্রটি নকল বা জাল করা সম্ভব নয় এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী ১২ বছরে অধিক বয়সী তথ্য যাচাই করা সকল মিয়ানমার নাগরিককে এই পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এটিই কোন কোন রোহিঙ্গার ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম পরিচয়পত্র প্রাপ্তি। পরিচয়পত্রটি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইউএনএইচসিআর-এর মিডিয়া কমিউনিকেশন অফিসার জোসেফ ত্রিপুরা প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য মতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ৯ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের আগস্টে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর কর্তৃক যৌথভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম করার উদ্যোগ নেয়। এতে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এ পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থাপিত ৭ টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত নিবন্ধন করা হচ্ছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সকল রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনতে ৫৫০ জনেরও বেশী কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইউএনএইসিআর এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস এর বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ এটি আমাদের নিবন্ধন কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য একটি মাইফলক। এই কার্ডটি থাকায় নিবন্ধিত শরণার্থীরা আরো নিরাপদ বোধ করবে এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা সমূহ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও এই কার্ডে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে যে, তাদের মূল দেশ মিয়ানমার। তারা যখন নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইবে, এই কার্ডটি তাদের নিজ দেশে ফেরার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
“ শরণার্থী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তাদের মৌলিক তথ্য সহ, পারিবারিক সংযোগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথিভূক্ত করা হয়। ইউএনএইচসিআর এর বায়োমেট্রিক পরিচয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (বিআইএমএস) বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন আঙ্গুলের ছাপ, চোখের মনির স্ক্যানকৃত তথ্য সংরক্ষণ করে; যা প্রত্যেক শরণার্থীর অনন্য পরিচয় নিশ্চিত করবে। ”
/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close