দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিক্ষা-সাহিত্য
জিপিএ-৫ পেলেন ১৬১৮০৭ জন, ফর্ম ফিলাপ করলেই পাস
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনার কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলের সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।
এরমধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডে পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ জন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলের সাংসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভীড় না করেন। আমরা কোনোভাবে ঝুঁকি নিতে চাই না।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে ভার্চ্যুয়ালি ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ অনুলিপি গ্রহণ করেন।
গত বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৫৬২ জন। অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ২৩৬ জন।
ফলাফলের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুকসহ দেশের শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনার কারণে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে যারা ফরম পূরণ করেছেন সবাই এইচএসসি পাসের সনদ পাবে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে এইচএসসিতে ফেল করে আবার পরীক্ষা নিতে ফরম পূরণ করেছিল তারাও পরীক্ষা ছাড়া সনদ পাবে।
/আরএম