⤖끞귆ᩲ筲ꤗ鎆㳇槸稼ṩ䞚鄾쿱飮㹏麆멬廊흲㪝康ꦭꍥ帇₟鿞暢鞥拱樌⇗জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হতে পারে মিন্নি! | ঢাকা অর্থনীতি
দেশজুড়ে

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হতে পারে মিন্নি!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজে ‘স্বাভাবিকভাবে’ হাঁটার কারণে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন বরগুনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এক নম্বর সাক্ষী মিন্নি। যে কোনো সময় পুলিশি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। মিন্নি বর্তমানে পুলিশি নিরাপত্তায় বরগুনায় তার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন।

শনিবার বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে। ভিডিওটি ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডের। ভিডিও ফুটেজটির ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে দেখা গেছে, নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ ১০-১২ জন রিফাতকে মারধর করতে করতে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে বের হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন পেছন থেকে রিফাতকে ধরে রেখেছে। বাকি দুজন দুই হাত ধরেছে। ৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ফুটেজে মিন্নিকে দেখা যায়, তার বাম হাতে একটি পার্স ছিল। সে পারস হাতে স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিল। একবার ডানেও তাকিয়েছেন কলেজের দিকে।

৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে যখন নয়নের সঙ্গীরা রিফাতের মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করেন তখনও স্বাভাবিক ছিলেন মিন্নি। ৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে যখন সব বন্ধুরা একসঙ্গে রিফাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তখন প্রথমবারের মতো দৌড়ে যান মিন্নি। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তখন দা বের করে কোপানো শুরু হয়। পেছন থেকে মিন্নিকে প্রতিরোধ করতে দেখা যায়।

এ ঘটনার পর নয়নরা যখন পালিয়ে যায় তখন একজন মিন্নিকে তার পার্সটি মাটি থেকে হাতে তুলে দেন। মিন্নি স্বাভাবিকভাবে সামনের দিকে হাঁটতে থাকেন। এ ঘটনার ৮ মিনিট পর একটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা।

ভিডিওটির পর নতুন করে আসে মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, তদন্ত স্বচ্ছ ও সাবলীল করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে। সে এ মামলার একজন সাক্ষী, তদন্তের স্বার্থে একবার নয় প্রয়োজনে ১০ বার তার সঙ্গে কথা বলা হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।’

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ‘কো-অপারেট’ করছেন না মিন্নি। তার বাড়িতে গেলে সে ‘স্বামীর দুঃখে কাতর’ বলে পুলিশের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলেনি। তবে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাতকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের প্রাণপণ বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরদিন রিফাতের স্ত্রী মিন্নি ও তার সাবেক বন্ধু সাব্বির হোসেন নয়নকে (নয়ন বন্ড) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিতে থাকে। অনেকে হত্যাকাণ্ডের জন্য মিন্নিকে দায়ী করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close