প্রধান শিরোনামশিক্ষা-সাহিত্য

জাহাঙ্গীরনগর জুড়ে আতঙ্ক, বন্ধ দোকান-হল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সে নির্দেশ অমান্য করে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আবারও বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্দেশ অমান্য করলে ‘কঠোর’ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ঘোষণার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে।

সকল দোকানপাট বন্ধ

হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল দোকান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সাড়ে তিনটার মধ্যে সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও হলে অবস্থান করলে প্রশাসনিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তির পরও আন্দোলন

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হলের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। ফলে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে হল ভ্যাকেন্ট প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

হল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তির পরও বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়।

সন্ধ্যার পরেও একই স্থানে বিক্ষোভ করে চলেছে আন্দোলনকারীরা। গান বাজনা এবং মিছিলের মাধ্যমে পুরো পরিবেশ মাতিয়ে রাখলেও ক্যাম্পাসের অন্য অংশ সন্ধ্যার পরেই থমথমে রূপ নেয়।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close