আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
জাবিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪, রিমান্ড আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি। এর আগে শনিবার গভীর রাতে সাভার-আশুলিয়া থানার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- (১) ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানার বালিয়া হাটি গ্রামের মজিবর রহমান খানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। (২) বগুড়া জেলার শেরপুর থানার পারভবানিপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হক সরকারের ছেলে সাব্বির হাসান সাগর। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। (৩) কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার নেওয়াশী গ্রামের মোঃ মফিজুল হক সিদ্দিকে ছেলে সাগর সিদ্দিক ও (৪) রংপুর জেলার কতোয়ালী সদর থানার গন্দাদাশ গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান।
এ ঘটনায় পলাতক আসামীরা হলেন- (১) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার আমন্ত গ্রামের মোঃ হাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুসুর রহমান মামুন ও (২) মোঃ মুরাদ।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা সাভার ও আশুলিয়া থানা সম্বনয় হয়ে একাধিক টিম গঠন করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভুক্তভোগীকে তার স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদ মামুন।
/এএস