আশুলিয়াস্থানীয় সংবাদ
জমে উঠেছে ঔতিহ্যবাহী বসুন্ধরা কোরবানির পশুর হাট
আব্দুল কাইয়ুম,নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদ-উল আযাহাকে সামনে রেখে সাভারের আশুলিয়ায় ঔতিহ্যবাহী বসুন্ধরা কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। এটিই আশুলিয়ার সবথেকে বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট। শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় পরিচালিত হচ্ছে এই হাট।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল বগাবাড়ির বসুন্ধরা মাঠে এই হাটের উদ্বোধন করেন সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান।
বাইপাইল আব্দুল্লাহ্পুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘেঁষে নানা সুবিধায় সমৃদ্ধ এই হাটে ক্রেতা বিক্রেতার চাপ বাড়তে শুরু করেছে প্রথম দিন থেকেই।
হাটের ইজারাদার আমিনুল ইসলাম বাবু, সার্বিক তত্বাবধানে কাজী হারুন ভান্ডারি ও পরিচালায় রয়েছেন এবাদত হোসেন। এছাড়াও রয়েছে শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক টীম। সবার সর্বোচ্চ চেষ্টায় প্রতিবারই অত্যন্ত নির্ভেজাল হাটে রুপান্তরিত হয় এই হাট টি।
হাটের পরিচালক এবাদত হোসেন বলেন, পশুর হাটে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় জাল নোট শনাক্তকরণ, কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে হাসিল আদায়সহ সকল আধুনিক ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসা ও হাটে আগতদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার হোটেলের সু-ব্যবস্থা, আধুনিক পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। হাটে পশু আনতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। এছাড়া গরু বিক্রি করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যাপারীকে নিরাপত্তার সাথে গরু বিক্রিত টাকাসহ বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, এবার কোরবানীর পশুর হাটে সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। সকল বিক্রেতা বলছেন আমার গরুকে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়া হয়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম ঠিক রেখেই বিক্রির চেষ্টা চলছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন, ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগেই মূলত ভালভাবে বেচা-কেনা শুরু হবে। এবার কোরবানীর পশুর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসময় আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি দুলাল তালুকদার, মনসুর মাদবরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।