ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করছেন জনসাধারণ, আর সরকার বহন করছে মাত্র ২৩ শতাংশ। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে এমনভাবে বরাদ্দ দেয়া দরকার, যাতে মানুষের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমে যায়। গতকাল বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্নয়ন সমুন্বয়ের যৌথ আয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাজেটবিষয়ক জাতীয় সংলাপ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
ঢাকায় ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত এ সভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), রুমিন ফারহানা (মহিলা আসন-৫০), এবং শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১)। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ে মূল নিবন্ধ অনলাইনে উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমুন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের থিমেটিক গ্রুপের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. আতিউর বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য বাজেটে বর্তমানে ওষুধ ও পচনশীল চিকিৎসাসামগ্রী বাবদ যে বরাদ্দ আছে তা যদি তিন গুণ করা যায় এবং যদি উপজেলা পর্যায় থেকে কমিউনিটি পর্যায় পর্যন্ত তিন ধরনের সরকারি সেবাকেন্দ্রে সব শূন্য পদে দক্ষ জনবল নিয়োগ করা যায়, তাহলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে জনসাধারণের অংশ ৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৫১ শতাংশ হতে পারে।
/একে