দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
জনসমাগম এড়িয়ে নববর্ষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী’র
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বর্তমান বিশ্ব বিপর্যস্ত। সে কারণে গত বছরের মতো এ বছরও আমাদের সীমিতভাবে জনসমাগম এড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে উদযাপনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়িত ঐতিহ্য। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এ বছর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এ বছর আমরা উদযাপন করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এরই ধারাবহিকতায় আগামী বছর আমরা উদযাপন করবো মহান ভাষা আন্দোলনের হীরকজয়ন্তী। বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না, বাঙালি বীরের জাতি হিসেবে তার অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্মর হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তর।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তারও মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শেও মূলসূত্র নিহিত আছে জাতিগত বিকাশ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে। সেই আদর্শে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা।
শেখ হাসিনা বলেন, একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ তথা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবারের বৈশাখ হবে আমাদের জন্য বিপুল প্রেরণাদায়ী।
তিনি বলেন, বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাবো – এবারের নববর্ষে এ হোক আমাদের প্রত্যয়ী অঙ্গীকার। কবি গুরুর ভাষায় –
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো, আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
এসো, হে বৈশাখ এসো, এসো …।
/এন এইচ