বিশ্বজুড়ে
জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৪৮০০ কোটি টাকা জরিমানা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ও ওষুধ উৎপাদনকারী জনসন অ্যান্ড জনসনকে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যে ৪৮০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
আগ্রাসীভাবে পেইন কিলার বিক্রি করে রাজ্যটিতে অপিওয়েড ইস্যুতে কোম্পানিটি ভূমিকা রেখেছে বলে এই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপিওয়েড বলতে সাধারণত এমন কোনো রাসায়নিক বস্তুকে বোঝায় যা শরীরে মরফিনের মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) এই রায় দেওয়া হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রায়ে ডিস্ট্রিক্ট জাজ থাড বাল্কম্যান বলেন, জনসন অ্যান্ড জনসন ভুল প্রচারে অপিওয়ড সক্রিয় ওষুধের প্রচার চালিয়েছে। স্বাস্থ্যগত বিষয়ে অবগত থেকেও আপোষ করেছে কোম্পানিটি। ওকলাহোমাকে এই ভার বইতে হচ্ছে। আসক্তি, অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ, সন্তানে অনীহাসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে ভুক্তভোগীদের।
এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওষুধের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বহীন করে দেখার। তারা তাদের মার্কেটিং প্রতিনিধিদের এই বলে প্রশিক্ষণ দিত যে, ডাক্তার তার ব্যবস্থাপনাপত্রে তাদের পেইন কিলার ব্যবহারের পরামর্শ দিলে ঝুঁকি শতকরা ২.৬ ভাগেরও কম। এক্ষেত্রে ডাক্তারদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করা হতো।
ওষুধ কোম্পানিটিকে করা এই জরিমানা কম বলেই ভাবছে ওকলাহোমা রাজ্য সরকার। ১৭০০ কোটি টাকারও বেশি জরিমানার দাবি করলেও সরকারি কৌঁসুলিরা আশা করছিলেন ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণও তারা আদায় করতে পারবেন।
রাজ্যের অ্যাটর্নি রিগেই হুইটেন বলেন, আমার পার্টনার তার এক আত্মীয়কে হারিয়েছে এই কারণে। অপিওয়েড মহামারি আমাদের সকলের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করে কোম্পানিটি মাত্র ১ ভাগ অপিওয়েড বিক্রি করে থাকে।
তবে সরকারি কৌঁসুলিরা বলেন, তারা বাকি ওষুধ বিক্রি করে থার্ড পার্টির কাছে।
ওকলহোমায় বিগত ২০ বছরে অন্তত ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে অপিওয়েড সংক্রান্ত অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের কারণে।