দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় পাসপোর্ট পেয়েছে রোহিঙ্গারা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভুয়া পরিচয় দিয়ে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে মরিয়া রোহিঙ্গারা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারে জন্মনিবন্ধন দেয়া বন্ধ থাকলেও অর্থের বিনিময়ে অনেক জনপ্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার।
কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মচারী এসব কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এলাকার আমির হোসেন আর উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছেনুয়ারা বেগম। রোহিঙ্গা নারী ছেনুয়ারা বেগমকে নিজের মেয়ে ফাতেমা বেগম সাজিয়ে সব ধরণের সনদপত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ধরা পড়েন আমির হোসেন।
শুধু আমির হোসেন নয়, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাইয়ে দিতে ভুয়া পরিচয়, চুক্তিভিত্তিক কিংবা অর্থের বিনিময়ে কাজ করছে দালালচক্র। যে কারণে স্থানীয়দের পাসপোর্ট করতে এসে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। তারপরও স্থানীয়রা বলছে, ভোগান্তি পোহালেও রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায়।
একজন বলেন, চিকিৎসার জন্য এক মাসের মধ্যে আমাকে ভারত যেতে হবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জটিলতা অনেক বেড়ে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে পাসপোর্ট পেতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। জেলায় জন্ম নিবন্ধন বন্ধ থাকলেও অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন দিচ্ছেন বলে জানালেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য প্রাথমিক যেসব কাগজপত্র দরকার সেগুলো পেতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা প্রশাসক জানালেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কেউ কোথাও অন্যায়ভাবে কোনো কাগজপত্র দিয়ে থাকলে সেটা অপরাধ। আমাদের কাছে অভিযোগ কিংবা তথ্য আসলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
পাসপোর্ট অফিসের দেয়া তথ্য মতে, গত দু’বছরে পাসপোর্ট করতে এসে জব্দ করা হয়েছে ৩ শো’র অধিক রোহিঙ্গার পাসপোর্ট। আর আটক করা হয়েছে ৩০ জন রোহিঙ্গাকে।