দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

জঙ্গি ছিনতাই: সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিল রাফি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাফিকে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। রিমান্ড আবেদনে একথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে বিকেল ৩টার দিকে রাফির রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে জানা যায়- রাফি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সাথে সমন্বয়পূর্বক সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিনতাইকৃত পলাতক জঙ্গি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন। যার সাংগঠনিক নাম-শাহরিয়ার। রাফি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা আদালতপ্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করে। এ পরিকল্পনার কথা রাফিকে জানায়। রাফি আদালতে মামলাগুলোর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় অন্যান্য আসামিদের সাথে যোগাযোগ হতো এবং তাদের সে এই পরিকল্পনার কথা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকা সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটে। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ছিনতাইকৃত আসামিসহ পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয়, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, গ্রেপ্তার এবং তাদের সংগঠনের অফিসের ঠিকানা, দলীয় নেতাদের পদ-পদবি, সদস্য সংখ্যা, ঘটনার নির্দেশদাতা, তাদের সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কিংবা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য উদঘাটনের জন্য রাফির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে, বুধবার রাফিকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। সিটিটিসি সূত্র জানায়, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে।

উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। রাতেই ১০ জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close