দেশজুড়েশিল্প-বানিজ্য
ছয় শর্ত দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি
ঢাকা অর্থনীতিডেস্ক: দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে তিন লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে প্রথম দফায় ছয় শর্তে অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।
শনিবার (২১ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে তিন লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। পাইপলাইনে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আমদানির জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত চালের মধ্যে রয়েছে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল তিন লাখ ৪৮ হাজার টন এবং আতপ চাল ৪৩ হাজার টন।
এর আগে ১৮ আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে চিঠি পাঠায়। কয়েকটি শর্তে সরকার চাল আমদানির অনুমোদন দেয়।
শর্তগুলো মধ্যে রয়েছে:
>বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এই সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
>আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে।
>বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না।
>আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না।
>প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে।
>নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই মোটা চাল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা ও চিকন চাল কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক ও কর কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ৬ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর ১২ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এই সুবিধা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কমানো শুল্ক হারে চাল আনার জন্য আমদানিকারকরা আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।