দেশজুড়ে
ছেলের তথ্য গোপন; বাবাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ তথ্য গোপন করে এক মামলায় তিনবার জামিন আবেদন করায় আসামির বাবাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আসামির বাবা মামলার তদবিরকারক ছিলেন।
রোববার (৩০ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১০ দিনের মধ্যে এ অর্থ আগারগাঁওয়ের প্রবীণ হিতৈষী সংঘকে দেড়লাখ এবং বাকি টাকা গাজীপুরের বৃদ্ধাশ্রমকে দিতে হবে।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী মো. আবদুস সামাদ।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বেলকুচি শাখায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার সময় কম্পিউটার তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে উপাত্ত পরিবর্তন, বিভিন্ন ভুয়া নাম ব্যবহার, স্বাক্ষর জাল করে ও কম্পিউটারে ভাউচারবিহীন ভুয়া লেনদেন দেখিয়ে ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৫ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে।
এরপর ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় পরদিন গ্রেফতার হন হাফিজ। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে জামিন চেয়ে আবেদনের পর সিরাজগঞ্জ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই নামঞ্জুরের আদেশ দিয়ে জামিনের জন্য হাইকোর্টে পরপর তিনটি আবেদন করেন। গত ১০ মার্চ প্রথমটি হাইকোর্টের ১৯ নম্বর বেঞ্চ উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়েছে।
দ্বিতীয়টিতে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ ৮ এপ্রিল জামিন নিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এ দুটি আবেদনকে গোপন রেখে আসামির বাবা মো. শফিজ উদ্দিন ফের তদবিরকারক হয়ে আরেকটি আবেদন করেন।
বিষয়টি আদালতে নজরে আনায় এ জরিমানা করেন বলে জানান আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, আজকের আবেদন খারিজ হয়েছে। এছাড়াও রুল জারি করা আবেদনের ওপর সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।