দেশজুড়ে
ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের কনস্টেবল আটক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর মতিঝিলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের সময় বংশাল থানার এক কনস্টেবলসহ দুজনকে পিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তাদের মতিঝিল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে আবুল কালাম নামে ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
আটক দুজন হলো পুলিশ কনস্টেবল আল মামুন ও জিতু।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম জানান, তিনি ব্যবসা করেন। যমুনা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় দুই ব্যক্তি তাকে বলে, ‘আমরা পুলিশ, আমাদের সঙ্গে তোকে যেতে হবে। গাড়িতে ওঠ, তোকে অনেক দিন ধরে খুঁজতেছি।’
আমি বললাম, ‘আমি তো পুলিশের গাড়ি চিনি। এটা তো পুলিশের গাড়ি না।’ তখন তাকে হেলমেট দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
ঘটনার সময় উপস্থিত পথচারী মাহিন জনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীর মাথা ফেটে যাওয়ার পর পথচারীরা সবাই এসে লোক দুটোকে আটক করে। এরপর মতিঝিল থানায় তাদের সোপর্দ করে। দুজনের মধ্যে একজন নিজেকে পুলিশ বলে জানায়। তার মোটরসাইকেলেও পুলিশ লেখা ছিল।’
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ। দুই পক্ষকেই থানায় রাখা হয়েছে। টাকাও থানায় আছে। চিকিৎসার জন্য সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে আসার পর জানতে পারবো আসলে কী হয়েছে?’
পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্রো ল-২৪-৩৬৯৯) জব্দ করেছে পুলিশ। এর সামনে ‘পুলিশ’ লেখা রয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল আল মামুন বংশাল থানায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির। তিনি বলেন, ‘আল মামুন গাড়িচালক। সে মোবাইল পেট্রোল গাড়ি চালায়। মঙ্গলবার রাতে সে ডিউটি করে। তাই দিনে তার বিশ্রাম ছিল। দিনে সে কোথায় ছিল, সে আমাকে কিছু জানায়নি।’ তিনি ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান।
শাহীন ফকির বলেন, ‘সে যদি সন্ধ্যায় ডিউটিতে না আসে, তাহলে তাকে আমি অনুপস্থিত হিসেবে রিপোর্ট দেবো।’ এ ঘটনার সঙ্গে যদি তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, আইনগতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
/আরএম