দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান চলছে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান চলছে। বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

এ পরিস্থিতিতে যে কোনো মুহূর্তে নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে আগাম সম্মেলন, না কী আহ্বায়ক কমিটি?

না ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউকে কার্যকরী সভাপতি করে দায়িত্বভার অর্পণ- তিন প্রক্রিয়ার কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এর যে কোনো একটি প্রক্রিয়ায় নতুন নেতা বাছাই করা হতে পারে।

দলের চারজনকে ছাত্রলীগের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এটি দেখছেন। তবে সবকিছু পরিষ্কার হতে পারে শনিবার(১৪ সেপ্টেম্ব) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের বৈঠকে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ১ বছর না পেরোতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা ওঠে আসে।

এর মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করা অন্যতম। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা, ফোন রিসিভ না করার অভিযোগও আছে।

এর বাইরে রাতজাগা ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, কর্মসূচিতে বিলম্বে যাওয়া, প্রধান অতিথিদের বসিয়ে রাখা, জেলা সম্মেলন করতে না পারা, বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ও এ তালিকায় রয়েছে।

এসব দেখে এবং শুনে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন। সেদিন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তারা বলেন, শেখ হাসিনা ভীষণ ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close