চীনের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় এক সাংবাদিকসহ ৩ জন আটক

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চীনের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় এক সাংবাদিকসহ তিনজনকে আটক করেছে দিল্লী পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নেপালের নাগরিক, একজন চীনের ও একজন ভারতীয় সাংবাদিক রয়েছেন। শনিবার তাদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে দিল্লী পুলিশ।

জানা গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, যেমন সীমান্তে সতর্কতা স্বরূপ নিরাপত্তাবাহিনী কী কী করছে এর যাবতীয় খুঁটিনাটি চীনের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোকে পাচার করতেন এই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। বদলে মোটা টাকা পেতেন দিল্লির পীতমপুরার এই বাসিন্দা।

শনিবার সকালে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক চীনা নারী ও তার এক নেপালি সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

জানা গেছে, এরাই টাকা পৌঁছে দিত রাজীবের হাতে। দেড় বছরে তাকে মোট ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। একেকটি তথ্যের জন্য এক হাজার মার্কিন ডলার পেতেন দিল্লির এই সাংবাদিক। ২০১৬ সালে তার সঙ্গে চীনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

আটক ভারতীয় সাংবাদিকের নাম রাজিব শর্মা (৬১)। তিনি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করে আসছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিক রাজিব শর্মা দিল্লির পিতমপুরায় বসবাস করেন। গত সোমবার অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট (ওএসএ)-এর আওতায় সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চীনা নারী এবং তার নেপালী সঙ্গীর বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারের পরের দিন অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালতে পেশ করা হয় রাজীব শর্মাকে। তাকে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যদিও এরইমধ্যেইজামিনের আবেদন করেছেন দিল্লির এই সাংবাদিক। আগামী ২২ তারিখ সেই শুনানি রয়েছে আদালতে।

শনিবার দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জীব কুমার যাদব জানান, চীনের ইন্টেলিজেন্স সংস্থা মূলত গ্রেফতার হওয়া চীনা নারী এবং তার নেপালী সঙ্গীকে কাজে লাগিয়েছিল। তারা যোগাযোগ করে রাজীবের সঙ্গে। ওই দু’জনের মাধ্যমেই টাকাপয়সার লেনদেনের পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন নথি চীনে পাচার করতেন দিল্লির সাংবাদিক। এই তিন অভিযুক্তের থেকে অসংখ্য মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি

/এন এইচ