পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত অবস্থায় আটজনকে পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে জেং ইয়াং খ্যাং নামে ২৬ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন জানান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ছয় চীনা নাগরিককে বরিশাল মেডিকেলে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর আরও দুই বাঙালিকে ভর্তি করা হয়। তারা সবাই পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী।
“নিহত জেং এর মাথায় আঘাত গুরুতর ছিল, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।”
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়লারের উপর থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত সাবিন্দ্র দাসের (৩২) বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।
এক চীনা কর্মী সাবিন্দ্রকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠলে বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে চীনা কর্মীরা দাবি করেন, অসাবধানতায় নিচে পড়ে গিয়েছিলেন সাবিন্দ্র।
এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে সাবিন্দ্রর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বাঙালি শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
দিনভর চরম উত্তেজনার পর বিকেলে বাঙালি শ্রমিকদের সঙ্গে চীনাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তিন পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে ভাঙচুরও করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
/আরএম