প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
চীনকে ‘বড় ধাক্কা’ দিতে আমদানি পণ্যে চড়া শুল্ক আরোপের পথে ভারত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চীন থেকে আমদানি করা কমপক্ষে ৩০০টি পণ্যকে তালিকাভুক্ত করে চড়া আমদানি শুল্ক বসাচ্ছে ভারত। এরইমধ্যে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু হয়ে গেছে।
যেসব পণ্যের উপরে চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে থাকছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এবং মেডিক্যাল উপকরণ। এরইমধ্যে ফার্নিচার, খেলনা এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের উপরে নতুন কর বসেছে। এরমধ্যে অর্ধেক পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।
এছাড়া অন্যগুলোর ওপরে সরাসরি শুল্কের বোঝা চাপানো না হলেও লাইসেন্স প্রথা চালু হতে পারে। অর্থাৎ যে পণ্যকে ভারতে পাঠাতে কোনো বিশেষ লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে না, এবার তার উপরেও শর্ত চাপতে চলেছে। আগামীদিনে শুল্ক চাপানোর কথা ভাবা হচ্ছে বস্ত্রশিল্পেও। এভাবে বাণিজ্যিকভাবে চীনকে ‘বড় ধাক্কা’ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ভারত ও চীনের মধ্যে ২০১৮/১৯ সালে ৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারই চীনের ঝুলিতে পড়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের রাজস্ব দফতর চীন থেকে আসা ফ্ল্যাট রোলড স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম এবং জিঙ্কের উপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। পাঁচ বছরের জন্য এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, চীন থেকে ভারতে আসা সোলার উপকরণের উপরে ২০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। ভারতে সোলার উপকরণ সরবরাহে চীন প্রায় একচ্ছত্র রফতানিকারী দেশ। কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপকরণই আসে সেখান থেকে। কার্যত চীনের সরবরাহ লাইনের উপরেই সোলার প্যানেল নির্মাণের শিল্পটি নির্ভরশীল। এরকম পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সুযোগ দিতে এবং চীন নির্ভরতা কমাতে আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন করে ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত থেকে শুল্ক দফতর দেশের বিভিন্ন বন্দরে আমদানি হওয়া পণ্যের বিপুল সংখ্যক কনসাইনমেন্ট আটকে রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত সরবরাহকৃত পণ্য পরীক্ষা হচ্ছে, ততক্ষণ সেগুলো বন্দর থেকে দেশে ঢুকবে না। সূত্র: পার্সটুডে
/এন এইচ