বিশ্বজুড়েস্বাস্থ্য

চিকিৎসকের ওপর হামলা হলেই ১০ বছরের জেল!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারতে হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর জেরে ভাঙচুর ও চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রবণতা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এবার এই হামলা প্রবণতার রাশ টানতে এবার সক্রিয় হল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দিয়ে একটি খসড়া বিল তৈরি করেছে। তাতে চিকিৎসকের ওপর হামলায় দশ বছর পর্যন্ত জেলের সুপারিশ করা হয়েছে। অনাদায়ে গুনতে হবে দশ লক্ষ টাকা জরিমানা।

সোমবার হেলথ কেয়ার সার্ভিস পারসোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এসট্যাব্লিশমেন্ট (হিংসা ও সম্পদের ক্ষতি প্রতিরোধ) আইন- ২০১৯ সংক্রান্ত খসড়া প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শীঘ্রই বিল পাস করিয়ে শাস্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

জানা গেছে, বিলটি কীভাবে আরও নিখুঁত করা যায়, সে সম্পর্কে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারপরই সেটি চূড়ান্ত রূপ পাবে।

কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকের ওপর হামলা ভাঙচুর এখন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোর মাথাব্যথার কারণ। তিনদিন আগেই আসমের চা বাগানে ৭৩ বছর বয়সি এক চিকিৎসক দেবেন দত্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে শ্রমিকরা। এর আগে গত জুন মাসে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে এক বৃদ্ধ রোগীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। মাথায় গুরুতর চোট লেগে প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও ফের কবে তিনি স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরতে পারবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা, বাংলা-সহ সারা দেশজুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে কর্মবিরতি পালন করেন ডাক্তাররা।

এদিকে, চিকিৎসকের উপর হামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে আইন তৈরি করার কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অবশ্য তার আগে থেকেই এ বিষয়ে বিল আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। চিকিৎসকদের যাতে জনরোষের জেরে শারীরিক ক্ষতি বা জীবনহানির মতো পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, তার জন্য আইন তৈরি করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে চাইছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। শীঘ্রই বিল পাস করিয়ে শাস্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

সরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় সামলাতে গিয়ে গাফিলতির অভিযোগে জনরোষের শিকার হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের আপত্তি ও পরামর্শ নিয়ে বিলটি চূড়ান্ত করা হবে।

বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক নিগ্রহের অপরাধ যাতে জামিন অযোগ্য হয় তাও দেখতে হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্তকে আক্রান্ত চিকিৎসক বা চিকিৎসা কর্মীর চিকিৎসার খরচ দিতে হবে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর হলে তার ক্ষয়ক্ষতিও দিতে হবে। বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন এই ধরনের কঠোর আইনের দাবিতে সরব ছিল। সূত্র: আনন্দবাজার

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close