আমদানি-রপ্তানীপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে এবছর ধানের অতিমাত্রায় নিন্ম দাম নিয়ে সকল মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, যা এখনো চলছে। সরকারি সূত্রের দাবি, এবছর বাংলাদেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অথচ অবাক করার মত তথ্য হলো – বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম চাল আমদানিকারক দেশ।
ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৮- ২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ১.৬ মিলিয়ন টন চাল আমদানি করেছে। উল্লিখিত সময়ে চীন সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৫ মিলিয়ন টন চাল আমদানি করেছে। আর এই তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পরিসংখ্যান বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশকারী সংস্থা ’স্ট্যাটিসটা রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট’ প্রকাশিত এক রিপোর্টে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আমেরিকান কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবছর বাংলাদেশের উৎপাদিত চালের পরিমান ৩৫.৩ মিলিয়ন টন। অন্যদিকে বাংলাদেশের বার্ষিক চাহিদা ৩৫.৬ মিলিয়ন টন। সেই হিসেবে বাংলাদেশে বছরে শুন্য দশমিক ৩ মিলিয়ন চালের ঘাটতি রয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত ১.৩ মিলিয়ন চাল আমদানি করছে সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষক। গত ১১ জুন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় গত ১৯ মে সরকারের প্রতি চাল আমদানি বন্ধেরও দাবি জানানো হয়। তবে সরকার চাল আমদানি বন্ধ না করলেও সম্প্রতি চাল আমদানি কর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার নীতি গ্রহন করেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বোচ্চ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেশটি মোট ১২.৫ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে।
এফএইচ/আরএম